ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবো

 

ইন্ডিয়ান ভিসার সকল তথ্য

ইন্ডিয়ান ভিসার আবেদন

ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করব তা জানার সাথে সাথে আজকে জানবো ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন কোথায় থেকে করতে হবে, আবেদন কোন প্রক্রিয়ায়া করতে হবে, ইন্ডিয়ান ভিসার  জন্য আবেদন করতে হলে কত টাকা লাগবে, ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে কি কি কাগজ পত্র লাগবে, ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন এর পর কিভাবে তা চেক করতে হয় এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু প্রশ্নের উত্তর।

বর্তমানে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার,  চিকিৎসার জন্য, বিভিন্ন সুন্দর স্থান দর্শ, এবং তীর্থস্থান ভ্রমণ এর জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন অনেক লোকজন ভারত বা ইন্ডিয়া যেতে যেতে দেখা যায়। কিন্তু এর জন্য বৈধ উপায়ে যাওয়ার একান্ত প্রয়োজন।

বৈধভাবে ইন্ডিয়া যেতে হলে কিছু নিয়ম কানুন এর মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তাই ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে জানতে হবে ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন কেন্দ্র কোথায়।

ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন কেন্দ্র

ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হবে তার জন্য প্রথমেই ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে।

তার জন্য প্রথমেই এখানে ক্লিক করতে হবে অথবা https://indianvisa-bangladesh.nic.in  এই ঠিকানায় যেতে হবে। তারপর কিছু ধাপের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। তা ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হচ্ছে নিচে।

ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করব

মৌলিক তথ্যঃ ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করব তার জন্য পূর্বের প্রদত্ত সাইটে প্রবেশ করে উপরের অংশে দেখতে পারবেন Online Visa Application নামে এইটি মেনু আছে। সেখানে আপনাকে ক্লিক করতে হবে।

তারপর নিচের চিত্রের মতো একটি ফরম চলে আসবে আপনার সামনে। এখান থেকে আপনার দেশ বাছাই করতে হবে। তারপর ধারাবাহিকভাবে আপনার ভিসার মিশন বা এলাকা,  রিজিওন বা ন্যাশনালিটি বাছাই করে নিতে হবে।



অতঃপর জন্ম তারিখ, ইমেইল এড্রেস দুইবার একই রকমভাবে দিতে হবে। এবং পরে আপনি ইন্ডিয়া এই ভিসার মাধ্যমে যে তারিখে যেতে চান তার একটি সম্ভাব্য তারিখ দিতে হবে।

ঠিক এর পরের অংশে আপনি কোন ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন তার ধরন নির্বাচন করে দিয়ে এবং এর পরের অংশ কোন উদ্দেশ্যে যাওয়া হবে তা নির্ধারণ করে দিতে হবে।

তার এখান থেকে সর্বশেষ একটি ক্যাপচা আছে সেটা উপরে দেওয়া থাকবে তা সঠিকভাবে নিচে লিখে দিয়ে Continue বাটনে ক্লিক করলে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে।

আবেদনকারীর তথ্যাদিঃ

এখানে উপরের অংশে আপনি Application ID দেখতে পাবেন যা কোথাও লিখে সংরক্ষণ করে রাখবেন যা পরবর্তীতে কাজে লাগতে পারে।

এই ধাপে আপনি আপনার পাসপোর্ট অনুযায়ী ডাক নাম ও পরবর্তী নাম দিতে হবে। এর পরের অংশে একটি চেক বক্স আছে যদি পাসপোর্ট অনুযায়ী না প্রকাশ করতে চান এটির মধ্যে সিলেক্ট করে পরবর্তন করে দিতে হবে, আর না চাইলে টিক মার্ক দেওয়ার প্রয়োজন নাই।

এরপর আপনার লিঙ্গ, আপনার শহর, আপনার জন্মস্থান (জেলা), জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার, ধর্ম, আপনার চেহারায় যদি কোনো প্রকার দৃষ্টিগোচর হয় এমন চিহ্ন থাকে যেমনঃ কাটা, ফোঁড়া বা অন্যান্য দাগ থাকে তাহলে তা উল্লেখ করে দিতে হবে।

পরের খালিঘর থেকে আপনার সর্বোচ্চা  শিক্ষাগত যোগ্যতা যেটি সেটি এখানে দিতে হবে। তারপরের ঘরটি থেকে আপনার জাতীয়তা কোন প্রকারের তা নির্বাচন করে দিতে হবে যেমনঃ জন্মসূত্রে বা অন্যান্য।

পাসপোর্ট বর্ণনাঃ

ইন্ডিয়ান ভিসার আবেদন কিভাবে করব এর এই পর্যায়ে পাসপোর্ট ডিটেইলস দিতে হবে যেমনঃ পাসপোর্ট নাম্বার, পাসপোর্ট প্রদানের স্থান, পাসপোর্ট ইস্যুর এবং মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ দিতে হবে।

এর পরের যে অপশনটি সেটি Any other valid Passport/ Identity Certificate (IC) held থেকে Yes এবং No থাকবে। এক্ষেত্রে যদি আপনার অন্য কোন দেশের পাসপোর্ট থাকে তাহলে Yes দিয়ে নিচের তথ্যগুলো দিয়ে দিতে হবে। আর না থাকলে No দিয়ে নিচের Save and Continue বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্যঃ 

এই ধাপে এসে আপনার ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্যাদি দিতে হবে। এটি দুইটি অংশে থাকবে।

একটি অংশ থাকবে Present Address এবং অপরটি থাকবে Permanent Address থাকে।

এক্ষেত্রে আপনাকে এটি সতর্কতার সাথে পূরণ করতে হবে। আপনার হাতে যে ইউটিলিট বিল থাকবে যেমনঃ বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিল যেকোনো একটি যদি থাকে তাহলে সেই অনুযায়ী আপনি বর্তমান ঠিকানা পূরণ করবেন। যদি ইউটিলিট বিলের সাথে ঠিকানা মিল না থাকে তাহলে কিন্তু ভিসা এপ্রুভ হবে না।

তারপরের স্থায়ী ঠিকানা যদি একই হয় তাহলে ঠিক চিহ্ন দিয়ে দিতে হবে। আর নাহলে এগুলোও পূরণ করে দিতে হবে।

পারিবারিক তথ্যাদিঃ

এবারের অংশ হচ্ছে পারিবারিক তথ্য। এই অংশে পিতা-মাতার তথ্য দিতে হবে। তাদের নাম, জাতীয়তা, যদি বাংলাদেশী জাতীয়তার পূর্বে অন্য কোনো দেশের জাতীয়তা থেকে থাকে তাহলে তা পূরণ করে দিতে হবে।

তার পাশেই আছে আপনার বৈবাহিক সংক্রান্ত তথ্যছক। এবং আপনার দাদা-দাদী বা নানা-নানী পাকিস্তানের নাগরিক ছিল কিনা? যদি থাকে তাহলে Yes দিয়ে বাকি তথ্যগুলো পূরণ করে দিতে হবে।

পেশাগত তথ্যাদিঃ

এই ধাপের যে ঘর পূরণ করতে হবে সেগুলো হলো আপনার পেশাগত তথ্য।

এখান থেকে আপনার পেশাগত তথ্য সঠিকতার সাথে পূরণ করতে হবে। কারণ এর পক্ষে কিন্তু আপনি প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে। এবং এর সাথে আপনি যদি সামরিক/ আধা সামরিক/ প্রতিরক্ষামূলক কোন সংগঠনে যুক্ত থাকেন তাহলে তা yes দিয়ে পূরণ করতে হবে।

এবং যদি পূর্বের কোনো কর্মস্থল থাকে তাহলে তার তথ্যও আপনাকে দিতে হবে।

গন্তব্যের তথ্যাদিঃ 

এখানে আপনি Details of Visa Sought এরকম একটি ফরম আসবে। এখানে আপনি ইন্ডিয়া গিয়ে কোথায় থাকবেন, কিভাবে যাবেন তার তথ্যগুলো দিতে হবে। এবং যদি পূর্বের যাওয়ার তথ্য থাকে তাহলেও নিচের অপশনে Yes বাটনে ক্লিক করে সবগুলো তথ্য পূরণ করে দিতে হবে।

আর যদি না গিয়ে থাকেন তাহলে No বাটনে ক্লিক করে নিচের অংশে পাবেন ইন্ডিয়ার রেফারেন্স। মানে এখানে আপনি যেখানে থাকবেন সেটার ঠিকানা দিতে হবে। এবং নিচের Save and Continue বাটনে চাপ দিতে হবে।

অঙ্গীকারনামাঃ 

তারপরের অংশে আপনাকে কিছু স্বীকারোক্তি দিতে হবে। তবে এটি খুব সেনসেটিভ। তাই বুঝে শোনে Yes অথবা No দিতে হবে। তবে এখানে যদি Yes কোনটাই দেন তাহলে আপনার ভিসা না হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।

ছবি আপ্লোডঃ 

এর পরের অংশে আপনাকে আপনার একটি সাম্প্রতিক ছবি আপ্লোড করতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে আপনার ছবিটি ৩৫০ পিক্সেল বাই ৩৫০ পিক্সেল, JPEG ফরম্যাট, সর্বনিম্ন ১০ কিলোবাইট এবং সর্বোচ্চ ১ মেগাবাইট, এবং ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা এবং স্পষ্ঠ হতে হবে। না হলে কিন্তু আবেদন বাতিল হবে।

শেষ প্রক্রিয়াঃ 

আবার এর পরের অংশে গিয়ে আপনি যেখানে থাকবেন বা উঠবেন সেখানকার ঠিকানা দিতে হবে। দেওয়ার পর নিচের Save and Continue বাটনে চাপ দিলে পুরো আবেদনের তথ্য আপনাকে দেখাবে। যদি কোথাও আপনার সংশোধন করার প্রয়োজন হয় তাহলে Modify বাটনে চেপে সম্পাদন করতে হবে।

আর যদি সকল তথ্য ঠিক থাকে তাহলে Verified and Continue বাটনে চাপ দিলেই আপনার আবেদনের প্রক্রিয়া শেষ। এবং এখানে Print অপশন থেকে প্রিন্ট করে নিতে হবে।

ইন্ডিয়ান ভিসা ফি কিভাবে পরিশোধ করতে হবে

ইন্ডিয়ার ভিসার জন্য ফি পরিশোধ করার জন্য আপনাকে https://payment.ivacbd.com/ এখানে ক্লিক করে প্রবেশ করতে হবে। তারপর এখান থেকে কিছু নির্দেশনা অনুযায়ী পেমেন্ট করতে হবে।

আপনি একটি ফর্ম পাবেন যাতে 4 (চার) ট্যাব অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা আপনাকে ক্রমানুসারে পূরণ করতে হবে:

১। Application Info

২। Personal Info

৩। Overview

৪। Payment

১। আবেদনকারীর তথ্যঃ

নিচের নির্দেশনা অনুযায়ী পাঠাতে হবে।

ক) একটি মিশন নির্বাচন করুন: ড্রপ-ডাউন তালিকা থেকে আপনি যে মিশনটির অধীনে ভিসার জন্য আবেদন করেছেন সেটি নির্বাচন করুন। এটি নীচের SELECT YOR IVAC CENTER-এর অধীনে বিকল্পগুলিকে পরিবর্তন করবে।

খ) ওয়েব ফাইল নম্বর: পরবর্তী দুটি বাক্সে আপনার ওয়েব ফাইল নম্বর লিখুন। উভয় এন্ট্রি একই হতে হবে.

গ) আপনার IVAC কেন্দ্র নির্বাচন করুন: ড্রপ-ডাউন তালিকা থেকে IVAC কেন্দ্র নির্বাচন করুন যার অধীনে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করেছেন। আপনি IVAC কেন্দ্রের নাম নির্বাচন করার সাথে সাথেই নিচের BDT-তে AMOUNT আপডেট হবে (BDT 600 থেকে BDT 700 এর মধ্যে পরিবর্তিত হয়)।

ঘ) ভিসার ধরন: ড্রপ-ডাউন তালিকা থেকে আপনি যে ভিসার জন্য আবেদন করেছেন সেটি নির্বাচন করুন।

ঙ) পাসপোর্ট নম্বর: আপনার পাসপোর্ট নম্বর সঠিকভাবে লিখুন।

চ) সংরক্ষণ করুন এবং পরবর্তী: উপরেরটি পূরণ করার পরে, পরবর্তী ট্যাবে যেতে ‘সংরক্ষণ করুন এবং পরবর্তী’ বোতামে ক্লিক করুন। মনে রাখবেন যে আপনি উপরের ক্ষেত্রগুলি সম্পূর্ণ করার পরেই এই বোতামটি সক্রিয় হবে।

২। ব্যাক্তিগত তথ্যঃ

ক) আপনার সম্পূর্ণ নাম লিখুন (যেমন এটি আপনার পাসপোর্টে প্রদর্শিত হয়), ইমেল ঠিকানা* (একটি বৈধ ইমেল আইডি প্রদান করুন, যেখানে আপনি সমস্ত চালান এবং বিজ্ঞপ্তি পাবেন) এবং যোগাযোগ নম্বর (একটি বৈধ মোবাইল নম্বর প্রদান করুন যেখানে আপনি SMS বিজ্ঞপ্তি পাবেন)।

খ) *ইমেল ঠিকানা ক্ষেত্র ঐচ্ছিক, কিন্তু যদি ইমেল ঠিকানা প্রদান করা না হয়, আপনি ইমেলের মাধ্যমে কোনো অর্থপ্রদানের চালান পাবেন না।

উপরেরটি সম্পন্ন করার পরে, নীচের ‘Save and Overview’ বোতামে ক্লিক করুন, যা উপরের সমস্ত বাধ্যতামূলক ক্ষেত্রগুলি সম্পূর্ণ করার পরেই সক্রিয় হয়।

৩। অভার ভিউঃ

আপনি আগের ট্যাবগুলিতে যেমন ট্যাব-২ এবং ট্যাব-৩-এ ‘Save and Overview show’ বোতামে ক্লিক করবেন: ‘Overview নীচের মতো খোলে। এই ট্যাবটি আপনাকে প্রথম দুটি ট্যাবে প্রবেশ করা তথ্যের একটি সারাংশ প্রদান করে। আপনি আগের ট্যাবগুলিতে সঠিকভাবে সমস্ত তথ্য প্রদান করেছেন কিনা তা পর্যালোচনা করার জন্য।

ওভারভিউ ট্যাবে, আপনি সম্পাদনা করতে পারবেন না বা কিছু লিখতে হবে না। যাইহোক, আপনি যদি কোনো ভুল খুঁজে পান এবং কোনো ফিল্ড এডিট করতে চান, তাহলে নিচের ‘Edit YOUR INFORMATION’ লিঙ্কে ক্লিক করুন। আপনি আগের ট্যাবগুলি সম্পাদনা করতে পারেন এবং আবার ওভারভিউতে ফিরে আসতে পারেন৷ সেইসাথে আপনি যে কোনো পূর্ববর্তী ট্যাব(গুলি) ক্লিক করতে পারেন এবং প্রয়োজনে আপনার তথ্য সম্পাদনা করতে পারেন।

পর্যালোচনা করার পরে, নীচের ‘নিশ্চিত করুন এবং অর্থপ্রদানের জন্য সরান’ বোতামে ক্লিক করুন। এগিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই ‘আমি পরিষেবার শর্তাবলীতে সম্মত’ এর পাশের চেকবক্সে টিক দিতে ক্লিক করতে হবে। চেকবক্স নির্বাচন না করে, আপনি অর্থপ্রদানে এগিয়ে যেতে পারবেন না। আপনি হাইপারলিঙ্কে ক্লিক করে ‘পরিষেবার শর্তাবলী’ দেখতে পারেন।

*You ” অথবা “Add Your Family Member” আইকনে ক্লিক করে 5 জনকে (আপনি সহ) যোগ করতে পারেন৷ কিন্তু নিশ্চিত করুন যে আপনি একই ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করছেন।

৪। পেমেন্টঃ

আপনি অ্যাপ্লিকেশন তথ্য এবং ব্যক্তিগত তথ্য ট্যাবগুলি সম্পূর্ণ করার পরে, এবং অবশেষে ওভারভিউ ট্যাবের অধীনে ‘confirm and go’ বোতামে ক্লিক করার পরে, নিম্নলিখিত ‘Payment’ পৃষ্ঠাটি প্রদর্শিত হবে।

এখানে আপনি SSLCOMMERZ পেমেন্ট গেটওয়ের অধীনে একাধিক অর্থপ্রদানের বিকল্প দেখতে পাবেন যেমন ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস (MFS) এবং অন্যান্য অর্থাৎ মালিকানা কার্ড।

উপলব্ধ বিকল্পগুলি থেকে আপনার পছন্দসই অর্থপ্রদানের পদ্ধতি নির্বাচন করুন। যত তাড়াতাড়ি আপনি পেমেন্ট বিকল্প নির্বাচন করুন, যেমন VISA বা MasterCard, আপনি পৃষ্ঠার ডানদিকে ‘payment Amount’ দেখতে পাবেন, যা ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণ ফি-এর সাথে সুবিধার ফি যোগ করার পর মোট পরিমাণ।

আপনি যদি অর্থপ্রদানের জন্য প্রস্তুত হন, তাহলে ‘Verify you’re human’-এর অধীনে যে অক্ষর এবং/অথবা নম্বরগুলি দেখছেন তা প্রবেশ করে ক্যাপচা সম্পূর্ণ করুন এবং তারপর অর্থপ্রদান করতে এগিয়ে যেতে ‘এখনই অর্থপ্রদান করুন’ বোতামে ক্লিক করুন।

আপনি এখনও হাইপারলিঙ্ক বা পূর্ববর্তী ট্যাব(গুলি) এ ক্লিক করে আপনার তথ্য সম্পাদনা করতে পারেন৷ অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন যে একবার আপনি ‘Pay Now’-এ ক্লিক করলে, সম্পাদনা বিকল্পটি আর উপলব্ধ হবে না।

ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • দুই ইঞ্চি বাই দুই ইঞ্চি একটি সাম্প্রতিক রঙিন ছবি। এক্ষেত্রে ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা থাকতে হবে। কোনো প্রকার বা চশমা থাকতে পারবেনা এবং দুটো কানের ছবি যাতে স্পষ্ট থাকে।
  • পাসপোর্টের ফটোকপি যেটা স্পষ্ঠ থাকতে হবে।
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি তবে যদি বয়স ১৮ এর নিচে হয় তাহলে জন্মসনদ এর ফটোকপি।
  • স্বচ্ছলতার প্রমানপত্র থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংক স্ট্যাট্ম্যান্ট থাকতে হবে যেটির মধ্যে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার লেনদেনের তথ্য থাকে। আর মার্কিট ডলার এন্ডোরস করতে হবে কমপক্ষে ১৫০ ডলার।
  • পেশাগত প্রমাণপত্র। এক্ষেত্রে যদি আপনি চাকুরিজীবি হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে NOC সংগ্রহ করে এখানে আপ্লোড করতে হবে।
  • করোনা ভাইরাস বা Covid19 এর টিকা দেওয়ার সনদ বা সার্টিফিকেট।
  • ইউটিলিট বিলের কপি। সেটি হতে পারে বিদ্যুৎ বা গ্যাস বা পানির বিলের একটি কপি। তবে সেটি কিন্তু বর্তমান ঠিকানার হতে হবে। তবে সেটি কিন্তু সাম্প্রতিক হতে হবে।
  • যদি আপনি আগে কখনো আপনার আগে ভিসা পেয়ে থাকেন তাহলে সেটির ফটোকপি।
  • তবে আপনি যেগুলো অনলাইন আবেদনের সাথে সাবমিট করবেন তার সবগুলো কিন্তু আপনাকে প্রয়োজনে সরাসরি প্লেইস করা লাগতে পারে তাই এগুলো সংগ্রহ করে রাখবেন।
  • মেডিক্যাল ভিসার জন্য হলে ডাক্তারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

ভারতে ভ্রমণ করার ইচ্ছা রাখা অনেকেরই কিছু প্রশ্ন থাকে ভিসা সম্পর্কে। এখানে কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও তাদের উত্তর দেওয়া হলো:

প্রশ্নঃ ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া কি?

উত্তরঃ  ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত অনলাইনে সম্পন্ন করা হয়। আপনাকে ভারতীয় ভিসা অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন পোর্টালে গিয়ে আবেদন করতে হবে, আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে, প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে এবং আবেদন ফি প্রদান করতে হবে।

প্রশ্নঃ  ভারতীয় ভিসা পেতে কত দিন সময় লাগে?

উত্তরঃ ভারতীয় ভিসা পেতে সাধারণত ৩ থেকে ১৫ কার্যদিবস লাগতে পারে। তবে, এটি আবেদনের ধরন এবং বিশেষ অবস্থান অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।

প্রশ্নঃ  ভারতীয় ভিসার জন্য কোন কোন নথি প্রয়োজন হয়?

উত্তরঃ  ভারতীয় ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি সাধারণত এইগুলি অন্তর্ভুক্ত হয়: বৈধ পাসপোর্ট পাসপোর্ট সাইজের ছবি আবেদন ফর্মের প্রিন্ট আউট ভ্রমণের প্রমাণ (যেমন ফ্লাইট টিকিট) হোটেল বুকিং বা থাকার আয়োজনের প্রমাণ।

প্রশ্নঃ  ভারতীয় ই-ভিসা কি এবং কিভাবে পাওয়া যায়?

উত্তরঃ  ভারতীয় ই-ভিসা হল একটি ইলেকট্রনিক ভিসা যা অনেক দেশের নাগরিকরা অনলাইনে আবেদন করে পেতে পারেন। ই-ভিসা পেতে হলে, আবেদনকারীকে ভারতীয় ই-ভিসা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে, আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে, প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে, এবং আবেদন ফি প্রদান করতে হবে।

প্রশ্নঃ  কি কি ধরণের ভারতীয় ভিসা রয়েছে?

উত্তরঃ ভারতে ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের ভিসা পাওয়া যায়, যেমন: ট্যুরিস্ট ভিসা বিজনেস ভিসা মেডিকেল ভিসা কনফারেন্স ভিসা শিক্ষা ভিসা কর্মসংস্থান ভিসা এছাড়াও আরও কিছু ভিসা রয়েছে। 

প্রশ্নঃ ভারতীয় ভিসা ফি কত টাকা?

উত্তরঃ  ৮০০ টাকা।

শেষকথাঃ 

ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে সেটা যেহেতু অনলাইন নির্ভর তাই এটা আপনার সর্তকতার সাথে এবং নিজ দায়িত্বে পূরণ করতে হবে। আর আপনি যে তথ্যাদি অনলাইনে সাবমিট করবেন তার হার্ড কপি অবশ্যই সাক্ষাতকারের দিন সাথে নিয়ে যেতে হবে। তাই সতর্ক থাকুন।

Next Post Previous Post